About the book:
সে তাসিন ত্বাহা। ................................ "দ্রোহের মন্ত্রে ভালবাসাটা বোধ হয় এরকম। পদ্ম দীঘির মাঝে নৌকায় আনুশের হাতটা জড়িয়ে ধরে বসে আছে আনান। শেষ বিকালের রোদের প্রতিটি কণা স্পর্শ করা যাচ্ছে তখন। পুরো দীঘি জুড়ে পদ্ম। দূরে মেঘালয়ের পাহাড়ের সারি। রোদের ফোঁটা পড়ছে সেগুলোতে। আর এই পৌত্তলিক সময় যেন ওদের সংসার। আর এই পথেই, যেখানে সৃষ্টি কিছু কথা বলে। কিছু কথা বার বার জমে উঠে পদ্ম দীঘির পাড়ে। আর বেকার কিছু ব্যস্ততার অভিনয় সব কিছু ছাপিয়ে নিজেকে করে গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই, এ পথেই । এ পথেই একমুঠো দোলনচাঁপার স্বপ্ন নিয়ে যায় পাহাড়ে।
আনুশের হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বসে আছে আনান। আনুশ তুমি কি আগে থেকেই সব ঠিক করে রেখেছিলে? -আনান বলল। আনুশ বলল- জায়গাটায় অস্পর্ষী সূর্যসারথী, দিনের পথিক হয়ে ছুঁতে চায় দীগন্তের মেঘ। রাতের ছবি হয়ে যেতে চায় অরন্যে। তোমার সাথে। আমি দেখছি অন্যকিছু। আনান বলল। আনুশ আনানের দিকে তাকাল। আনানের চোখে গাঢ় করে কাজল দেয়া। তারপর বলল- আমার দৃষ্টির সীমানায় সবসময় তুমি ছিলে। আমার দৃষ্টি তোমাকেই খুঁজেছে প্রতিটি মুহূর্ত। আনান হেসে বলল- আনুশ, তোমার চোখটা স্বচ্ছ। আমি ভাগ্যবান- আনুশ বলল।
বিকাল রোদের সোনালী আভা তখন চারপাশে প্রতিফলিত হচ্ছিল। আনান নৌকার এক প্রান্তে বসে পদ্ম ছুয়ে যাচ্ছিল। আনুশের হাতে তখন অনেকগুলো কয়লা। কাগজে কয়লা ঘষে কালো ব্যাকগ্রাউন্ড আনছে। তারপর তা আঙুল দিয়ে ঘষে আনছে জ্যোৎস্নার অবয়ব। তার মাঝে ফুটে উঠছে আনানের মুখ। আনুশ অনেক দিন পর ছবি আঁকছে। পাগলের মত কাগজে দাগ টানছে কয়লার। পাশে থাকা কয়লার টুকরো খুব দ্রুত শেষ হচ্ছে। আনুশ একটু পর পর চোখ তুলে দেখছে আনানকে। কিছুটা দূরে আনান। আনুশের দেয়া লাল শাড়িটার আঁচল বিছিয়ে বসে আছে। "